বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সর্ব বৃহত্তম মেসি ফ্যানস গ্রুপ ইন বাংলাদেশ গ্রুপের পরিচালনা কমিটির উদ্দ্যোগে আয়োজিত বিডি মেসি ফ্যান ফেস্ট ২০১৭ গতকাল ...
বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সর্ব বৃহত্তম মেসি ফ্যানস গ্রুপ ইন বাংলাদেশ গ্রুপের পরিচালনা কমিটির উদ্দ্যোগে আয়োজিত বিডি মেসি ফ্যান ফেস্ট ২০১৭ গতকাল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার স্টার হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দলের সাবেক তারকা ফুটবলার কায়সার হামিদ। এ ছাড়া আরও সাবেক ফুটবলার ও বাংলাদেশ ফুটবলের সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। এ অনুষ্ঠানে মেসি ফ্যানস ইন বাংলাদেশ গ্রুপের সদস্যদের মিলনমেলায় পরিণত হয়।
বিডি মেসি গ্রুপ কমিটির আয়োজিত এটা ছিল দ্বিতীয় বারের মত গেট টু গেদার।এর আগে চিটাগাং এর একটি হোটেলে লিওনেল মেসির জন্মদিন উপলক্ষে ছোট্ট একটি গেট টু গেদার আয়োজন করেছিল বিডি মেসি।
কিন্তু বিডি মেসি কমিটি এই প্রথম বারের মত বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে গেট টু গেদারের আয়োজন করে গতকাল বিশাল ভাবে।গ্রুপটির এডমিন প্যানেল থেকে জানানো হয় "এই দিনটির জন্য দীর্ঘদিন যাবত অপেক্ষা করেছিলাম আমরা,এমন একটি মেসি ময় দিন যদি আমরা বাংলাদেশের মেসি ফ্যানদের জন্য আয়োজন করতে না পারতাম তাহলে আমাদের বেডি মেসি গ্রুপের পরিপূর্ণতা কখনই লাভ করত না।
কিন্তু অনেক দেরিতে হলে আমরা মেসি ফ্যানদের জন্য এমন একটি আয়োজন করতে পেরে আজ আমাদের বিডি মেসি গ্রুপ ধন্য মনে হচ্ছে।আজ মনে হচ্ছে যে মানুষের (লিওনেল মেসি) ফুটবলকে ভালবেসে রাতের পর রাত জেগে তার ফুটবল নিউজ আপডেট দিতাম। যার জন্য আমাদের বিডি মেসি গ্রুপে এখন মেম্বার সংখ্যা প্রায় সাত লাখ।সেই লিওনেল মেসির ফ্যানদের এমন একটি মিলনমেলার আয়োজন করতে পেরে আজ মনে হচ্ছে বিডি মেসি গ্রুপ পরিপূর্ণতা লাভ করেছে। আজ মনে হচ্ছে রাত জাগা স্বার্থক মনে হচ্ছে,এবং বিডি মেসি ফ্যান ফেস্ট ২০১৭ এ অংশ গ্রহন করা সকল মেসি ফ্যানদের ধন্যবাদ জানান বিডি মেসি গ্রুপের এডমিনরা।এবং আগামীতে আরো এরকম অনুষ্ঠান হবে বলে জানান গ্রুপটির এডমিনরা।
আর্জেন্টিনা ও বার্সেলোনার সুপার স্টার লিওনেল মেসির প্রতি এমন ভালবাসাই প্রকাশ করে আজ ও আমাদের বাংলাদেশের মানুষ ফুটবলকে ভালবাসে। আজ ও আমাদের বাংলাদেশের মানুষ ফুটবল নিয়ে স্বপ্ন দেখে।এই ভালবাসাই প্রকাশ করে বাংলাদেশের ফুটবল প্রেমী মানুষ তাদের দেশে ও এমন একটি মেসি চায় যার জন্য দিন রাত কাজ করে যাবে।
সাত সমুদ্র তেরো নদীর দূরত্ব পাড়ি দিয়ে যে দেশের মানুষের মন ছুটতে পারে একটু খানি জাদুকরি ফুটবল দেখার নেশায় সেই দেশের মানুষ গুলো কি পরিমান ফুটবলকে ভালবেসে তা বলে বোঝানোর মত কোনো ভাষা নেই।
আমরা বাংলাদেশীরা চাই আমাদের বাংলাদেশের ফুটবলের আরো উন্নতি হোক। আমরা চাই বাংলাদেশ ফুটবলের প্রতি আরো বেশি নজর দেওয়া হোক। গ্রাম বাংলা থেকে শুরু করে শহর পর্যন্ত যেখানেই প্রতিভাবন ফুটবলার শিশু দেখা যাবে তাকে যেন আমরা দেশের জন্য ফুটবল মাঠে লড়াই করার যোগ্য মেসি হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।
লিওনেল মেসির ফুটবল খেলাকে মানুষ কেন ভালবাসবে না? লিওনেল মেসির ফুটবল প্লে নিয়ে ব্যাখা দিতে গিয়ে আসিফ মামুন বলেন "মেসি ছোট-বড় সব ম্যাচে সমান ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ক্ষমতা রাখে,বড় ম্যাচে জ্বলে ওঠা,অকস্মাৎ গতি বাড়ানোর দক্ষতা,নিখুঁত থ্রু পাস,চমৎকার ড্রিবলিং,শরীরের নিখুঁত ভারসাম্যে বিপক্ষের কড়া ট্যাকলেও পড়েন না। ডজ করে বেরিয়ে যান। সেন্টার অব গ্র্যাভিটি কম, কিন্তু শরীরের নীচের অংশ শক্তিশালী,টার্নিং, ছোট জায়গায় ঘুরতে পারা,চেকিং, এক দিকে যেতে গিয়ে অন্য দিকে চলে যাওয়া,পরের পদক্ষেপ ভেবে নেওয়া। প্রথম পাসিংয়ের সময়ই জানেন, তিন নম্বর পাসটা কোথায় যাবে। দ্রুত স্টাইল বদলানো।গোল করার পাশে গোল করানোর দক্ষতা।ডিফেন্ডারের ভুলের জন্য অপেক্ষা করেন। তার পরে তাঁকে আরও বড় ভুল করতে বাধ্য করেন।দারুণ ইনসাইড কাট।সেট পিসে প্রতিদিন উন্নতি।শান্ত মানসিকতা, রেফারির সঙ্গে তর্ক করে খেলাটা ভোলেন কম।কোচের প্লেয়ার। দৃষ্টিভঙ্গি। অ্যাটাকিং থার্ডে সব জায়গায় সমান স্বচ্ছন্দ। বাঁ পা-টা তীক্ষ্ম হলেও ডান পা’টা খুব খারাপ নয়। স্ট্যামিনা আর দায়িত্ববোধ।
যে ফুটবলার এত গুলো গুনে পরিপূর্ণ থাকে,সেই ফুটবলার কে একজন ফুটবল প্রেমী হিসেবে পছন্দ করা কিনবা তার প্লে কে ভালবাসা দোষের কিছু নয়। সে যেই দেশের হোক না কেন তার পরিচয় সে একজন ফুটবলার এবং যারা তার ফ্যান তাদের পরিচয় ও তারা ফুটবল লাভার।
কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশি মেসি ফ্যানদের যে অনুভূতি মেসির প্রতি, তার দিগুন অনুভূতি বৃদ্ধি পেত যদি মেসি আর্জেন্টিনার না হয়ে বাংলাদেশের হত। আজ বাংলাদেশি মেসি লাভাররা যে পরিমান ফুটবলার মেসিকে ভালবাসে তার কয়েক গুন বেশি ভালবাসত যদি মেসি বাংলাদেশের হত, ঐ সময় অন্যরকম একটি অনুভূতি কাজ করত প্রতিটা মেসি ফ্যানদের মনে।

বিডি মেসির এই গেট টু গেদার এ বাংলাদেশ ফুটবল সম্পর্কে প্রধান অতিথির বক্তব্যতে বাংলাদেশের ধারাভাষ্যকার চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত বলেন, একটা সময় ফুটবল ছিল বাংলাদেশের প্রধান খেলা। দর্শক-সমর্থকে ভরে যেত স্টেডিয়ামের গ্যালারি। আবাহনী-মোহামেডানের ম্যাচে উত্তেজনা-উত্তাপ ছড়াত চারদিকে। এসব এখন শুধুই স্মৃতি। তবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পাশাপাশি সংগঠক ও খেলোয়াড়দের আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। প্রত্যেককেই ফুটবলের উন্নতির জন্য কাজ করতে হবে। ক্রিকেটের পাশাপাশি ফুটবলের হারানো গৌরব ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
এবং বিডি মেসি গ্রুপের অ্যাডমিন লিও মুন্না জানান, ফেসবুকের এই গ্রুপে দেশে-বিদেশে তাদের সদস্য সংখ্যা ৭ লাখ ছাড়িয়ে। বিডি মেসি ফ্যান ফেস্টে যোগ দেওয়া তরুণরা আর্জেন্টাইন সুপার স্টার লিওনেল মেসির ফুটবল জাদুর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। তবে বাংলাদেশ ফুটবলের জন্যও তারা কাজ করে যাচ্ছেন। ফুটবলের দুর্দিন চললেও জনপ্রিয় এ খেলার হারানো গৌরব ফেরানোর দাবি জানান তারা। ফুটবলকে জাগিয়ে তুলতে সামনে এ গ্রুপের সদস্যরা আরও কর্মসূচি নেবেন বলে জানান।
এছাড়া বাংলাদেশের সাবেক ফুটবলার কায়সার হামিদ জানান, ফুটবলের এমন দুঃসময়ে ফেসবুক গ্রুপটির এমন আয়োজন খুবই প্রশংসনীয়।
বিডি মেসি ফ্যান ফেস্ট অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য গ্রুপটির প্রবাসী এডমিন লিওনেল ইমরান - মোহাম্মদ শাহজালাল - নিরব সোহেল - সুফিয়ান - লিওনেল আল আমিন বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়া গ্রুপটির বাংলাদেশে বসবাস কারি এডমিন রাজন,লিও ইমন,মাহবুব আলম,লিও শরিফ,রাকিবুল হাসান জুবায়ের,মেহেদী শুভ,লিও মুন্না,শহীদ,তানভির শিপু,বেলাল,সায়েফ আহমদ ইমন,পলক,রামিন, তারা ও এই অনুষ্ঠানটি সফল ভাবে সম্পুর্ন করার পিছনে অনেক পরিশ্রম করেন।
এছাড়া ও গ্রুপটির ভ্যালু মেম্বার,মোডারেটর এবং জাহিদ হাসান ও লিওনেল আকাশ নামে দুইজন মেসি ফ্যান অনেক সহযোগিতা করেন বিডি মেসি এডমিন প্যানেল কে।
লিখেছেন: লিওনেল আল আমিন
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দলের সাবেক তারকা ফুটবলার কায়সার হামিদ। এ ছাড়া আরও সাবেক ফুটবলার ও বাংলাদেশ ফুটবলের সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। এ অনুষ্ঠানে মেসি ফ্যানস ইন বাংলাদেশ গ্রুপের সদস্যদের মিলনমেলায় পরিণত হয়।
বিডি মেসি গ্রুপ কমিটির আয়োজিত এটা ছিল দ্বিতীয় বারের মত গেট টু গেদার।এর আগে চিটাগাং এর একটি হোটেলে লিওনেল মেসির জন্মদিন উপলক্ষে ছোট্ট একটি গেট টু গেদার আয়োজন করেছিল বিডি মেসি।
কিন্তু বিডি মেসি কমিটি এই প্রথম বারের মত বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে গেট টু গেদারের আয়োজন করে গতকাল বিশাল ভাবে।গ্রুপটির এডমিন প্যানেল থেকে জানানো হয় "এই দিনটির জন্য দীর্ঘদিন যাবত অপেক্ষা করেছিলাম আমরা,এমন একটি মেসি ময় দিন যদি আমরা বাংলাদেশের মেসি ফ্যানদের জন্য আয়োজন করতে না পারতাম তাহলে আমাদের বেডি মেসি গ্রুপের পরিপূর্ণতা কখনই লাভ করত না।
কিন্তু অনেক দেরিতে হলে আমরা মেসি ফ্যানদের জন্য এমন একটি আয়োজন করতে পেরে আজ আমাদের বিডি মেসি গ্রুপ ধন্য মনে হচ্ছে।আজ মনে হচ্ছে যে মানুষের (লিওনেল মেসি) ফুটবলকে ভালবেসে রাতের পর রাত জেগে তার ফুটবল নিউজ আপডেট দিতাম। যার জন্য আমাদের বিডি মেসি গ্রুপে এখন মেম্বার সংখ্যা প্রায় সাত লাখ।সেই লিওনেল মেসির ফ্যানদের এমন একটি মিলনমেলার আয়োজন করতে পেরে আজ মনে হচ্ছে বিডি মেসি গ্রুপ পরিপূর্ণতা লাভ করেছে। আজ মনে হচ্ছে রাত জাগা স্বার্থক মনে হচ্ছে,এবং বিডি মেসি ফ্যান ফেস্ট ২০১৭ এ অংশ গ্রহন করা সকল মেসি ফ্যানদের ধন্যবাদ জানান বিডি মেসি গ্রুপের এডমিনরা।এবং আগামীতে আরো এরকম অনুষ্ঠান হবে বলে জানান গ্রুপটির এডমিনরা।
আর্জেন্টিনা ও বার্সেলোনার সুপার স্টার লিওনেল মেসির প্রতি এমন ভালবাসাই প্রকাশ করে আজ ও আমাদের বাংলাদেশের মানুষ ফুটবলকে ভালবাসে। আজ ও আমাদের বাংলাদেশের মানুষ ফুটবল নিয়ে স্বপ্ন দেখে।এই ভালবাসাই প্রকাশ করে বাংলাদেশের ফুটবল প্রেমী মানুষ তাদের দেশে ও এমন একটি মেসি চায় যার জন্য দিন রাত কাজ করে যাবে।
সাত সমুদ্র তেরো নদীর দূরত্ব পাড়ি দিয়ে যে দেশের মানুষের মন ছুটতে পারে একটু খানি জাদুকরি ফুটবল দেখার নেশায় সেই দেশের মানুষ গুলো কি পরিমান ফুটবলকে ভালবেসে তা বলে বোঝানোর মত কোনো ভাষা নেই।
আমরা বাংলাদেশীরা চাই আমাদের বাংলাদেশের ফুটবলের আরো উন্নতি হোক। আমরা চাই বাংলাদেশ ফুটবলের প্রতি আরো বেশি নজর দেওয়া হোক। গ্রাম বাংলা থেকে শুরু করে শহর পর্যন্ত যেখানেই প্রতিভাবন ফুটবলার শিশু দেখা যাবে তাকে যেন আমরা দেশের জন্য ফুটবল মাঠে লড়াই করার যোগ্য মেসি হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।
লিওনেল মেসির ফুটবল খেলাকে মানুষ কেন ভালবাসবে না? লিওনেল মেসির ফুটবল প্লে নিয়ে ব্যাখা দিতে গিয়ে আসিফ মামুন বলেন "মেসি ছোট-বড় সব ম্যাচে সমান ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ক্ষমতা রাখে,বড় ম্যাচে জ্বলে ওঠা,অকস্মাৎ গতি বাড়ানোর দক্ষতা,নিখুঁত থ্রু পাস,চমৎকার ড্রিবলিং,শরীরের নিখুঁত ভারসাম্যে বিপক্ষের কড়া ট্যাকলেও পড়েন না। ডজ করে বেরিয়ে যান। সেন্টার অব গ্র্যাভিটি কম, কিন্তু শরীরের নীচের অংশ শক্তিশালী,টার্নিং, ছোট জায়গায় ঘুরতে পারা,চেকিং, এক দিকে যেতে গিয়ে অন্য দিকে চলে যাওয়া,পরের পদক্ষেপ ভেবে নেওয়া। প্রথম পাসিংয়ের সময়ই জানেন, তিন নম্বর পাসটা কোথায় যাবে। দ্রুত স্টাইল বদলানো।গোল করার পাশে গোল করানোর দক্ষতা।ডিফেন্ডারের ভুলের জন্য অপেক্ষা করেন। তার পরে তাঁকে আরও বড় ভুল করতে বাধ্য করেন।দারুণ ইনসাইড কাট।সেট পিসে প্রতিদিন উন্নতি।শান্ত মানসিকতা, রেফারির সঙ্গে তর্ক করে খেলাটা ভোলেন কম।কোচের প্লেয়ার। দৃষ্টিভঙ্গি। অ্যাটাকিং থার্ডে সব জায়গায় সমান স্বচ্ছন্দ। বাঁ পা-টা তীক্ষ্ম হলেও ডান পা’টা খুব খারাপ নয়। স্ট্যামিনা আর দায়িত্ববোধ।
যে ফুটবলার এত গুলো গুনে পরিপূর্ণ থাকে,সেই ফুটবলার কে একজন ফুটবল প্রেমী হিসেবে পছন্দ করা কিনবা তার প্লে কে ভালবাসা দোষের কিছু নয়। সে যেই দেশের হোক না কেন তার পরিচয় সে একজন ফুটবলার এবং যারা তার ফ্যান তাদের পরিচয় ও তারা ফুটবল লাভার।
কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশি মেসি ফ্যানদের যে অনুভূতি মেসির প্রতি, তার দিগুন অনুভূতি বৃদ্ধি পেত যদি মেসি আর্জেন্টিনার না হয়ে বাংলাদেশের হত। আজ বাংলাদেশি মেসি লাভাররা যে পরিমান ফুটবলার মেসিকে ভালবাসে তার কয়েক গুন বেশি ভালবাসত যদি মেসি বাংলাদেশের হত, ঐ সময় অন্যরকম একটি অনুভূতি কাজ করত প্রতিটা মেসি ফ্যানদের মনে।

বিডি মেসির এই গেট টু গেদার এ বাংলাদেশ ফুটবল সম্পর্কে প্রধান অতিথির বক্তব্যতে বাংলাদেশের ধারাভাষ্যকার চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত বলেন, একটা সময় ফুটবল ছিল বাংলাদেশের প্রধান খেলা। দর্শক-সমর্থকে ভরে যেত স্টেডিয়ামের গ্যালারি। আবাহনী-মোহামেডানের ম্যাচে উত্তেজনা-উত্তাপ ছড়াত চারদিকে। এসব এখন শুধুই স্মৃতি। তবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পাশাপাশি সংগঠক ও খেলোয়াড়দের আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। প্রত্যেককেই ফুটবলের উন্নতির জন্য কাজ করতে হবে। ক্রিকেটের পাশাপাশি ফুটবলের হারানো গৌরব ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
এবং বিডি মেসি গ্রুপের অ্যাডমিন লিও মুন্না জানান, ফেসবুকের এই গ্রুপে দেশে-বিদেশে তাদের সদস্য সংখ্যা ৭ লাখ ছাড়িয়ে। বিডি মেসি ফ্যান ফেস্টে যোগ দেওয়া তরুণরা আর্জেন্টাইন সুপার স্টার লিওনেল মেসির ফুটবল জাদুর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। তবে বাংলাদেশ ফুটবলের জন্যও তারা কাজ করে যাচ্ছেন। ফুটবলের দুর্দিন চললেও জনপ্রিয় এ খেলার হারানো গৌরব ফেরানোর দাবি জানান তারা। ফুটবলকে জাগিয়ে তুলতে সামনে এ গ্রুপের সদস্যরা আরও কর্মসূচি নেবেন বলে জানান।
এছাড়া বাংলাদেশের সাবেক ফুটবলার কায়সার হামিদ জানান, ফুটবলের এমন দুঃসময়ে ফেসবুক গ্রুপটির এমন আয়োজন খুবই প্রশংসনীয়।
বিডি মেসি ফ্যান ফেস্ট অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য গ্রুপটির প্রবাসী এডমিন লিওনেল ইমরান - মোহাম্মদ শাহজালাল - নিরব সোহেল - সুফিয়ান - লিওনেল আল আমিন বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়া গ্রুপটির বাংলাদেশে বসবাস কারি এডমিন রাজন,লিও ইমন,মাহবুব আলম,লিও শরিফ,রাকিবুল হাসান জুবায়ের,মেহেদী শুভ,লিও মুন্না,শহীদ,তানভির শিপু,বেলাল,সায়েফ আহমদ ইমন,পলক,রামিন, তারা ও এই অনুষ্ঠানটি সফল ভাবে সম্পুর্ন করার পিছনে অনেক পরিশ্রম করেন।
এছাড়া ও গ্রুপটির ভ্যালু মেম্বার,মোডারেটর এবং জাহিদ হাসান ও লিওনেল আকাশ নামে দুইজন মেসি ফ্যান অনেক সহযোগিতা করেন বিডি মেসি এডমিন প্যানেল কে।
লিখেছেন: লিওনেল আল আমিন
COMMENTS